বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুর রহমান সোহাগ। এছাড়া সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জাকির হোসাইন। তারা আগামী দুই বছর মেয়াদে এ ছাত্র সংগঠনটির নেতৃত্ব দেবেন।

নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত সোহাগ ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও নতুন সাধারণ সম্পাদক জাকির সহ সম্পাদক ছিলেন।

দুইজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী ও হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

সোহাগ ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের এবং জাকির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সোহাগের বাড়ি মাদারীপুর ও জাকিরের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়।

রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে বেলা সাড়ে ১১টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত দ্বিতীয় অধিবেশনের পুরোটা সময় ধরে ভোটগ্রহণ চলে।

ছাত্রলীগের হাল ধরতে সভাপতি পদে ১২ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আগামী দুই বছরের জন্য নতুন নেতা নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ছাত্রলীগের ১১০টি ইউনিটের প্রায় তিন হাজার কাউন্সিলর।

গতকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা ও পায়রা উড়িয়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় তিনি স্বচ্ছ ব্যালট বক্সে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ভোটের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। তাই এই সংগঠনের নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মেধাবী, পড়াশোনায় মনোযোগী এবং যারা নিয়মিত ছাত্র তাদের নির্বাচিত করতে হবে। এছাড়া সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেন তিনি।

রোববার সকাল ১০টায় দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতেই প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বর্তমান সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুমন কুণ্ডু, নির্বাচন কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও শেখ রাসেল।

শুরুতে সভাপতি পদে ৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বললেও ভোট শুরুর আগ পর্যন্ত ৫২ জন তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। আর সধারণ সম্পাদক পদের ১৪৯ প্রার্থীদের মধ্যে ১২১ জনই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

দেশের প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৭তম সম্মেলন হয় ২০১১ সালের ১০ ও ১১ জুলাই।