পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ। তিনি বলেছেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে তখন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা চক্রান্ত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াতের মদদে, অর্থায়নে জঙ্গিবাদ করা হচ্ছে। গত ঈদুল ফিতরেও শোলাকিয়ায় ঈদগাহ ময়দানে জঙ্গি হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর থাকায় তারা সফল হননি। সেই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। কাজেই এবারের ঈদে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য ছাত্রলীগের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজ নিজ এলাকায় অপরিচিত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি লক্ষ্য করতে হবে। সন্দেহ হলে গ্রাম-পাড়া মহল্লার লোকজনের সহায়তায় জিজ্ঞাসাবাদ করাসহ প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।’
শুক্রবার বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। এসময় তিনি ছাত্র রাজনীতি ও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়েও কথা বলেন। ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে চলছে, তখন একটি শ্রেণীর গাত্রদহ শুরু হয়েছে। তারা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তাই নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি নেতাকর্মীর দেহে প্রাণ থাকা পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীদের সেই স্বপ্ন পুরণ হবে না।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যহার প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, সরকারের একটি সঠিক বাস্তবায়ন হয়েছে। কারণ ইতিহাস থেকে যা জানা গেছে, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার অন্যতম নেপথ্য নায়ক। জাতির পিতার সবচেয়ে বেনিফিয়ারি জিয়াই হয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, খুনিদের যেন বিচার না করা হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন এবং সংবিধান সংশোধন করে তা আইন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দুতাবাসে চাকরি দেয়, খুনি ও রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, রাজাকার আবদুল আলিম ও আবদুল মান্নানকে মন্ত্রী বানায়। কাজেই তাকে স্বাধীনতা পদক দিয়ে পদকের সন্মানহানি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পরও হলেও তা ফিরিয়ে নিয়ে জাতি কিছুটা দায়মুক্তি পেল। এছাড়া গতকাল (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্টের পুনাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, জিয়া ছিলেন অবৈধ রাষ্ট্রপতি।
ছাত্রলীগের আগামীর কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেই আমরা দুই দিনব্যাপী কক্সবাজারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে গুণাবলি ও নীতি নৈতিকতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছি। ঈদের পর আমরা এই কার্যক্রমটি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন জেলায় পরিচালনা করবো। এতে করে একজন ছাত্রনেতার যে গুণাবলি সেগুলো সর্ম্পকে নেতাকর্মীরা জানতে পারছেন, তেমনি সংগঠনের প্রতি আকর্ষণ ও মনোবল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
তথ্যসূত্র :www.bd-pratidin.com