জামাতের অযোক্তিক হরতালের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ
14, May 2013
জামাতের অযোক্তিক হরতালের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। মিছিলটি ঢাবির মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসে সমাবেশ করে। ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে এবং ঢাবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ.এম.বদিউজ্জামান সোহাগ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এসময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ঢাবি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ.এম.বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের রায় বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নামে-বেনামে বিভিন্ন জঙ্গী সংঘটন দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলচ্ছে। গত ৫মে ছাত্রদল সভাপতি জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবের নেতৃত্বে উত্তরা ব্যাংক লুটপাট করা হয় এবং মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে জুয়েলারী দোকান লুটপাট করা হয়। অপরদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফ আগুন দিয়ে পুড়ানো হয়। গত ৫মে আড়াই হাজার লোক মারা গেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আমার প্রশ্ন তাহলে তাদের স্বজনরা কোথায়? তাদের জন্ম স্থান কি বাংলাদেশে না পাকিস্থানে?
তিনি আরো বলেন, হরতালের নামে আজ অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী সাদিয়ার উপর ককটেল ছোড়া হয়েছে। গত ২৮ মার্চ চট্টগ্রামে হরতালের নামে নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী অন্তু বড়–য়ার ককটেল ছোড়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আর্থিক সহযোগিতায় তাদের চিকিতসা চলছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য তরান্বিত করছেন, তখন বেগম খালেদা জিয়া তাদের বাঁচানোর লক্ষে বিভিন্ন পায়তারা করছে। ১৮ দলীয় জোট আজ রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়াত্বে পরিনত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে বলতে চাই সীমানার ওপারে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই কিন্তু সীমানার ওপারে আপনাদের প্রভু আছে, বন্ধু নেই। শেখ হাসিনার শান্তি প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত হওয়ায় প্রমান করে তিনি বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা রাখেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ শাহবাগ থেকে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী করছে তখন খালেদা জিয়া হেফাজতে ইসলামের মাধ্যমে তা প্রতিহত করার ষড়যন্ত্র করছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা সংঘাতের পথ পরিহার করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতিঝিল থেকে তাদেরকে বিদায় করেছেন। এতেও এখন দিশেহারা বেগম খালেদা জিয়া।তারা সকল পরিকল্পনা এভাবে বালু চরে মিশে যাবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারনেনি।দেশরত্ন শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে আপনার সকল ষড়যন্ত্র চুড়মার হয়ে যাবে।তাই এখনো সময় আছে ষড়যন্ত্র বন্ধ করে রাজনীতি করুন। বাংলার সচেতন ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়ালে অস্তিত্ব নিয়েই সমস্যায় পড়বেন।