জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত
12, November 2014
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভা সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ.এম.বদিউজ্জামান সোহাগ ও সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাপদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে দেশদ্রোহীদের কোন বিচার ব্যাতীত ফাসিঁর দড়িঁতে কিংবা গর্দান কেটে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে বিচার করলেও তা নিয়ে নানা সমালোচনা করা হয়। এতে বুঝা যায়, দেশাদ্রোহীরা এখনো সক্রিয় আছে যেভাবে ৭১’র মুক্তিযোদ্ধের সময় ছিল। তিনি বলেন, মেধাবীরাই ছাত্র রাজনীতি করে এবং তারাই দেশকে নেতৃত্ব দেয়। আজকের যারা ছাত্র ও ছাত্রনেতা তাদের হাতেই রয়েছে দেশের ভবিষ্যত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা তোমাদের সাথে আগেও ছিলাম, এখনো আছি আগামী দিনেও থাকবো। আমরা আমাদের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে যাবে। তোমাদের সত্য ও সুন্দর পথ নির্দেশনা দিবো। কিন্ত সে সুন্দর পথে সাহস করে বুক ফুলিয়ে চলতে হবে তোমাদের।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ.এম.বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে এই হত্যাযঙ্গ ঘটানো হয়েছে। সেদিন খুনীরা ভেবেছিল জাতীয় এই চার নেতাকে হত্যা করতে পারলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে চিরতরে ধ্বংস করা যাবে। কিন্তু তাদেরকে হত্যার মধ্যদিয়ে খুনি মোস্তাকদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ভেজা দেশকে আজও নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি দেশ যতদিন থাকবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাতদিন থাকবে। মানুষের ভালোভাসায় যে সংগঠনটির জন্ম হয়েছে তা মানুষের জন্য মানুষের মাঝে চিরদিনই থাকবে।
সভা পরিচালনাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হিসেবে স্বীকৃত কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ঘাতকরা সেদিন আমাদের জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিচক্র ভেবেছিল জাতীয় চার নেতাকে বাঁচিয়ে রাখলে তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তাই সেদিন খুনিচক্র তাদেরকে হত্যা করে। কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার অভিন্ন স্বপ্ন বাংলার মাটিতে ভূলুন্ঠিত হতে দিব না ।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অবঃ) এবি তাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট কলামিস্ট মমতাজ উদ্দিন পাটোয়ারী, ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ।