মণিরামপুরে চুরি হয়েছে ভিক্ষুকের ভিক্ষার চাল, অবাক হলেও এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে উপজেলাটিতে। কুলসুম বেগম নামের দরিদ্র ভিক্ষুক গ্রাম থেকে গ্রামে ঘুরে ৪ থেকে ৫ কেজি চালসহ কিছু পুরোনো কাপড় পেয়ে থাকেন। সেই চাল ও কাপড় হঠাৎই দুর্ভাগ্যের শিকার হন তিনি। বিকেলে মণিরামপুর পৌর শহরের চালপট্টিতে ঘটনাটি ঘটে।
ভিক্ষার চাল চুরি হয়ে যাওয়ায় কুলসুম বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তার আহাজারিতে এই খবর সামাজিক যোগাযোগ প্রকাশিত হয়ে দিগ্বিদিক ছড়িয়ে পড়ে। বৃদ্ধার এই অসহায় ও করুন অবস্থা গভীরভাবে উপলব্ধি করে অসহায় ভিক্ষুকের সকল ধরনের দায়িত্ব নিলেন দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নির্দেশনায় যশোর জেলা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব।
জেলা ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, মণিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর স্ত্রী ভিক্ষুক কুলসুম বেগম প্রতি দিনের ন্যায় বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে কয়েক কেজি চাল পান। ভিক্ষার সময় ব্যবহারের জন্য কয়েকজন তাকে পুরোনো কাপড় দেন। বিকেলে তিনি ভিক্ষার চালসহ কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে পৌর শহরের চালপট্টিতে যান। সেখানে চালবিক্রেতার পাশে চাল ও কাপড়ের ব্যাগ রেখে আশপাশে ভিক্ষা করছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন চালসহ কাপড়ের ব্যাগটি নেই। এ সময় তিনি অঝোরে কাঁদতে থাকলে ব্যবসায়ীসহ উপস্থিত অনেকেই জানতে পারেন তার ভিক্ষার চালসহ কাপড়ের ব্যাগ চুরি হয়েছে।
চাল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, ভিক্ষুকের চাল চুরি করার মতো মানুষও এই সমাজে আছে? ভিক্ষুক কুলসুম বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সোমবার প্রতিবেশীর একজনের কাছ থেকে ধারে চাল নিয়ে রান্না করে খেয়েছি। ভিক্ষার এই চাল থেকে ধার শোধ করার আশা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না। তিনি এক ঘণ্টা খোয়া যাওয়া চাল ও পুরোনো কাপড়ের ব্যাগের খোঁজ করেও পাননি।
এ সময় যশোর জেলা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি জানান, তার আহাজারির খবর তার কানে পৌছায়। ঘটনার ইতিবৃত্ত বিবেচনা করে কুলসুম বেগম এর সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের এই সভাপতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ ফজলুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা, রকি, রাতুল, কামরান, রিমু, ইমরান, শান্ত, বাবু, রাজু, শাইদুল, প্রমুখ।