সাতক্ষীরার কলারোয়ার মাঠজুড়ে পাকা ধানের ঘ্রাণ। ফসল তুলে গোলা ভরার আাশায় কৃষক। কিন্তু করোনার প্রাদূর্ভাবে কলারোয়াতে পাকা ধান দেখে কৃষকের মাথায় অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা ভর করেছে।

শনিবার (১ মে) কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে দিন ব্যাপি কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকতে ছাত্রীলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকদের পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন৷

এদিকে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছেন উপজেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে কৃষকের ক্ষেতজুড়ে পাকা ধান দোল খাচ্ছে। কালবৈশাখী ঝড়ের আগে সঠিক সময়ে ধান ঘরে তুলতে না পাড়লে বিফলে যাবে গেল ৬ মাসের কষ্ট। ফলে দিশেহারা কৃষক।

এই খবর পেয়ে উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামিমুজ্জামান টিপুর নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কৃষকের ৪ বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

শামিমুজ্জামান টিপু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা মোতাবেক শ্রমিক সংকট দূর করতে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগ। আমরা মুরারীকাটি, কয়লা, লাঙ্গলঝাড়া জালালাবাদসহ বিভিন্ন মাঠে সারা দিন কৃষকের ধান কেটে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সব ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিতে।’

মুরারীকাটি দক্ষিণ পাড়া মাঠের ধান চাষি আবু সাঈদ বলেন, ‘করোনার প্রাদূর্ভাবে অর্থনৈতিক সমস্যাতে পড়েছিলাম৷ ছাত্রলীগের ভাইয়েরা আমার ও আরও চাষির এমন ক্রান্তিলগ্নে পাশে দাড়িয়েছে৷ তারা বিনা পারিশ্রমিকে আমাদের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের ভাইয়েদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ৷’

এ সময় ধান কাটা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন পৌর ছাত্রলীগের সাব্বির হোসেন জুয়েল, আমিনুর রহমান, শাওন হোসেন, উজ্জ্বল মল্লিক, আকিব হোসেন জয়, রানা মল্লিক, সুজন আহমেদ, নূর নবী, ওসমান গনি, নয়ন হোসেন, হৃদয় আহমেদ, নাইম হোসেন, আলিম হোসেন প্রমুখ।